*গুগলের কিছু মজার ফিচার*

সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে গুগলের খ্যাতি জগতজোড়া৷ বলা যায়, সার্চ সেবায় একক আধিপত্য এই প্রতিষ্ঠানটির৷ কিন্তু আমরা গুগল সার্চ কতটা ব্যবহার করি? এখানে পাবেন এমন কিছু অসাধারণ আর মজার ফিচারের কথা যা অনেকেই হয়তো জানেন না৷
১. টাইমারের কথাই ধরুন৷ ঘড়ি কিংবা মোবাইল ব্যবহারের দরকার কী? গুগল ডটকমের সার্চ বক্সে ইংরেজিতে লিখুন “সেট টাইমার ৩০ মিনিটস” ত্রিশ এর জায়গায় অন্য কোনো সংখ্যাও দিতে পারেন৷ এরপর গুগলই আপনার টাইমার হিসেবে কাজ করবে৷

২. আচ্ছা, আপনি কি রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে বখশিশ দেন? জার্মানিতে কিন্তু বখশিশের ব্যাপারটা বেশ প্রচলিত৷ সাধারণত খাবারের যে বিল হয় তার ১০ শতাংশ হিসেব করে বখশিশ দেয়া হয়৷ এখন আবার অঙ্ক কষতে বসার দরকার নেই৷ তার চেয়ে গুগলের কাছে যান এবং সার্চ বক্সে ইংরেজিতে লিখুন “টিপ ক্যালকুলেটর৷”

৩. ব্যস্ততার মাঝে ছুটির দিনের হিসাব রাখা কি সহজ কাজ বলুন৷ অনেকে একেবারেই খেয়াল রাখতে পারে না৷ অবশ্য এজন্য আফসোসও নেই৷ কেননা গুগল আছে৷ শুধু উপলক্ষ্যটা লিখে দিন সার্চ বক্সে৷ তারিখসহ বিস্তারিত সব গুগল নিজেই খুঁজে দেবে৷ এটা শুধু ছুটির দিনই নয় নতুন সিনেমা বা গেমের মুক্তির দিন জানার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য৷

৪. আপনার কি মনে হচ্ছে, দিন দিন মুটিয়ে যাচ্ছেন? ওজনটা মেপে দেখতে পারেন৷ তবে খাবারদাবার সব আবার ছেড়ে দেবেন না যেন৷ তার চেয়ে গুগলের সাহায্য নিন৷ কোন খাবারে কী পরিমাণ ক্যালোরি বা প্রোটিন আছে তা সহজেই জানতে পারবেন৷ উদাহরণ হিসেবে সার্চ বক্সে ইংরেজিতে লিখতে পারেন, “পিতসা ভার্সেস কাপকেক৷” এবার বিস্তারিত নিজেই দেখে নিন।

৫. কম্পিউটারে গান শুনতে অনেকেই ভালোবাসেন৷ কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, গানের সুর মনে আছে কিন্তু কথা খেয়াল নেই৷ নো চিন্তা৷ গুগল আছে না৷ সার্চ বক্সে লিখুন “সং অফ ম্যাডোনা” বা অন্য কারো নাম৷ গানের বিস্তারিত তালিকা পেয়ে যাবেন৷

৬. ছেলে বিদেশে যাচ্ছে তো বাবা-মা অস্থির৷ ঠিকমতো বিমান ছাড়লো কিনা এখন কোথায় আছে কিংবা কতক্ষণে গন্তব্য পৌঁছাবে – কত চিন্তা? বাবা-মাকে এত চিন্তা বাদ দিয়ে গুগল নিয়ে বসে পড়তে বলুন৷ সার্চ বক্সে লিখতে বলুন ফ্লাইট নম্বর এবং এয়ারলাইন্সের নাম (যেমন: ফ্লাইট ৮১৫ ইউএস এয়ারওয়েজ)৷ এরপর তারা নিশ্চিন্তে তাকিয়ে থাকতে পারেন পর্দার দিকে৷ বিমান কোথায় আছে, কতদূর গেছে আর কতক্ষণে গন্তব্যে পৌঁছাবে সবই দেখতে পাবেন তারা৷

৭. শেষ করার আগে একটু মজা করা যাক৷ গুগলের সার্চ বক্সে ইংরেজিতে লিখুন “ডু এ ব্যারেল রোল”৷ এখন মাথা ঘুরে গেলে কিন্তু আমি দায়ী নই৷ প্রতিবেদনটি তৈরিতে এপ্লাস ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সহায়তা নেয়া হয়েছে৷
* পোস্ট ভালো লাগলে পেইজে লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকবেন, শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ দিবেন।